গতকাল দুশমন্ত চামিরার বল উইকেট থেকে সরে গিয়ে পুল শটে ছক্কা সাকিব আল হাসানের। শর্ট বল হাওয়ায় ভেসে গ্যালারিতে, ছক্কা। বিশ্বকাপে শর্ট বলে পাঁচবার আউট হয়েছেন সাকিব। দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দুদিন নেটে বাড়তি ঘাম ঝরিয়েছেন শর্ট বলে অনুশীলন করে। ম্যাচের আগে সচরাচর নিজের ব্যাটিং কিংবা বোলিং নিয়ে সাকিবকে তেমন কাজ করতে দেখা যায় না।
তবে দিল্লিতে দুদিনের অনুশীলনে সাকিবকে পাওয়া যায় অন্য রূপে। মাঠের ক্রিকেটে সেই প্রতিফলনের দেখা মিললো। ছয় ম্যাচ পর দলকে জয়ে ফেরানোর দিনে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সাকিব ম্যান অব দ্য ম্যাচ। বল হাতে ২ উইকেটের পর ব্যাট হাতে ৬৫ বলে ৮২ রান। ১২ চার ও ২ ছক্কায় ১২৬.১৫ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ইনিংসটি গড়ে দেয় ব্যবধান। অথচ মাঠে নেমে শুরুতেই আঙুলে ব্যথা পেয়েছিলেন সাকিব। কাউকে বুঝতে দেননি।
নিজে আঙুল টেনে সোজা করেন। পরে হাতে টেপ ও ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ২২ গজে লড়াই চালিয়ে যান। রান তাড়ায় প্রতি আক্রমণে গিয়ে শ্রীলঙ্কার বোলারদের এলোমেলো করে দেন। ম্যাচের পর সাকিবকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার বাঁহাতের তর্জনিতে এক্স-রে করানো হয়। রাত সাড়ে ১২টায় সেই রিপোর্ট পায়। রিপোর্ট পেয়ে নিশ্চিত হওয়া হয়, তার আঙুলে চিড় ধরা পড়েছে। এখান থেকে সেরে উঠতে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগবে।
তার চোট নিয়ে দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেছেন, ‘গতকালের ম্যাচে ওর আঙুল ভেঙেছিল শুরুতেই। ও নিজে আঙুল সোজা করে খেলছে। ও বুঝেছে প্রথমেই (চিড় ধরা পড়েছে)। কিন্তু কাউকে বুঝতে দেয়নি। তারপর কিন্তু ওই ইনিংসটা খেলেছে। অনেক সমস্যা ছিল কিন্তু কাউকে বুঝতে দেয়নি। এগুলো আসলে বড় খেলোয়াড়দের লক্ষণ আর কি। যার ভাঙে আসলে সে বুঝে।’
এদিকে চিড় ধরা আঙুল নিয়ে বিকেলে ভারত থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন সাকিব। সন্ধ্যায় পৌঁছে যান ঢাকায়। সচেতনতার জন্য ব্যান্ডেজ বাঁধা বাম হাত স্লিংয়ে ঝুলিয়ে রাখতে হচ্ছে তাকে। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।